বাঙালি আমোদ প্রিয় বটে, কিন্তু রহস্যের গন্ধ পেলে একটু উঁকি ঝুঁকি দেবে না তা নয়৷ পছন্দের গোয়েন্দা, রহস্যের জট খুলে ফেলছেন, দেখলে কেমন যেন ‘আমি’ জিতে গিয়েছি মনে হয় । আর যদি হয় বাঙালি গোয়েন্দা তাহলে তো কথাই নেই৷ ফেলুদা- ব্যোমকেশের সঙ্গে কারও পরিচয় বইয়ের পাতায় কারও সিনেমার পর্দায়। বই পড়লেও সিনেমা দেখার মজাই আলাদা৷ দুই জায়গায় দুই রকম ভাবে চরিত্র এর বিকাশ ঘটে৷
সম্প্রতি সৃজিত মুখোপাধ্যায় ফেলুদা সিরিজ বানিয়েছেন। এতদিন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী ফেলুদা হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন৷ কিন্তু সৃজিত মুখোপাধ্যায় ফেলুদা সিরিজ বানানোর পর থেকে টোটা রায় চৌধুরী ফেলুদা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন । এবার, অন্য আরেক নায়ক ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। অন্য নায়কের পাশাপাশি অন্য মিডিয়ায়৷ টিভি সিনেমাহল নয়, এবার মঞ্চে হতে চলেছে ফেলুদা। মঞ্চে ফেলুদার ভূমিকায় ইন্দ্রাশিস রায়।
সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবার্ষিকীতে অঙ্কুর নাট্যগোষ্ঠী মঞ্চে ফেলুদা উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেন। সন্দীপ রায়ের কাছ থেকে অনুমতিও নেওয়া হলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা মহামারী। করোনা পরিস্থিতিতে নতুন কোনো প্রযোজনা সম্ভব ছিল না তাই ফেলুদা মঞ্চস্থ করাও স্থগিত রাখতে হয়৷
বোনের বিয়েতে কলকাতায় এসেছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী
মঞ্চের ফেলুদা অর্থাৎ ইন্দ্রাশিস এর কথায়, ‘আমার কাছে যখন প্রস্তাবটা আসে, প্রথমে প্রচণ্ড নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এরকম একটা চরিত্র, কে করতে চাইবে না বলুন। তারপর হ্যাঁ বলে দিই। কিন্তু করোনার জন্য পিছিয়ে যায় এই নাটক।’করোনা পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক। তাই আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে দিয়েছে অঙ্কুর। ইন্দ্রাশিস ও অঙ্কুরের সদস্যরা আবার দেখা করেছেন সন্দীপ রায়ের সঙ্গে। চিত্রনাট্য ও নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এখন সবার মধ্যে কৌতুহল ইন্দ্রাশিসকে ফেলুদা হিসেবে কেমন মানায়।
এছাড়াও ফেলুদার কোন গল্পটা মঞ্চস্থ করা হবে ? লালমোহন বাবু, তপসে এই চরিত্র গুলো কারা করবেন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাবেন আগামী মে মাসের ২ তারিখ। তাই বইয়ের পাতা সিনেমার পর্দার পর মঞ্চে ফেলুদা কেমন হবে দেখতে হলে আর কিচজুদিন অপেক্ষা করতেই হবে৷