গুজরাতের নিষ্কলঙ্কেশ্বর মন্দির। এমন নাম কেন মন্দিরের ? এই নামকরণের পিছনেও রয়েছে রয়েছে এক কাহিনি। প্রচলিত আছে, পঞ্চপাণ্ডব তাদের ইহজীবনের সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে ফেলার জন্য আরব সাগরের নীচে পাঁচটি শিবলিঙ্গ গড়েন। তাই এই মন্দিরের নাম নিষ্কলঙ্কেশ্বর। অর্থাৎ যেখানে নিষ্কলুষ কলঙ্ক কালিমাহীন হয়ে ওঠা যায়৷
স্বাভাবিক সময়ে এই মন্দির সমুদ্রের জলে ডুবে থাকে। সসমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০ ফুট উঁচু এই মন্দির। কিন্তু ঠিক দুপুর ১টার সময় জেগে ওঠে মন্দিরের শীর্ষ সহ মন্দিরগাত্র । রাত ১০টা পর্যন্ত সমুদ্রের ওপর জেগে থাকে সেই মন্দির । দেখে মনে হয়, সমুদ্র ফুঁড়ে যেন উঠে এসেছে এই মন্দির। কিন্তু ঠিক রাত ১০টা বাজলেই আবার সমুদ্রগর্ভের অতলে নিমজ্জিত হয় নিষ্কলেশ্বর মন্দির৷
চিরকাল চিরাচরিত কথা, লোককাহিনী বিজ্ঞান মানতে চায় না। এও ঠিক যে, পৃথিবীতে অনেক কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। নিষ্কলঙ্কেশ্বর মন্দির তেমনই এক নিদর্শন । বলা হয়, নিষ্কলঙ্কেশ্বর শিব মন্দিরে রয়েছে এমন রহস্য যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি কারও পক্ষে৷
ফোর্থস্টেজ ক্যানসার! দুঃখ নয়, আশায় উজ্জ্বল হোক আগামী
গুজরাটের ভব নগরে আরব সাগরের নীচে এই মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে নানা কথা প্রচলিত আছে। সমুদ্রতীর থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার হাঁটলে এই মন্দিরের দর্শন পাওয়া যায়। সেখানেই নাকি জেগে ওঠেন শিবলিঙ্গ। কিন্তু দিনের যে কোনও সময়ে এই শিবলিঙ্গের দেখা পাওয়া যায় না। মহাদেবের দেখা পেতে হলে ঠিক দুপুর একটা থেকে রাত ১০টার মধ্যেই আপনাকে যেতে হবে।
তবেই নিষ্কলঙ্কেশ্বর মন্দিরের এবং শিবলিঙ্গের দেখা মেলে। দিনের বাকি সময় সমুদ্রের জলের তলায় থাকেন মহেশ্বর । সেই সময়ে শুধু মন্দিরে উপরের পতাকাই নিশান স্বরূপ মন্দিরের অস্তিত্ব জানান দেয়৷ চূড়ায় থাকা পতাকা কেবল উড়তে দেখা যায়। এই মন্দিরের মূল আকর্ষণ মহাদেবের জেগে ওঠার সেই দৃশ্য। এই অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখার জন্যই বহু দর্শনার্থী ভিড় করেন সমুদ্র তটে। মনের ইচ্ছা জানান৷ ইচ্ছা পূরণের আশায় এই মন্দিরে ভক্তি নিয়ে যান বহু পুণ্যার্থী।