আমাজন নিয়ে বরাবরই মানুষের কৌতুহল রয়েছে। আমাজনের গভীরের প্রাণী থেকে সেখানকার আদি মানবের নানা বস্তু চিরকাল সকলের নজর কেড়েছে। ফের আমাজনের গভীরে আদি মানবের চিত্রকর্ম নজর কাড়ল সকলের। কলম্বিয়ায় আমাজন রেইনফরেস্টে সন্ধান মিলেছে রকশেল্টারের। ১২,৫০০ বছরেরও বেশী প্রাচীন হাজার হাজার চিত্রকর্ম পাওয়া গেছে এই রকশেল্টারের দেওয়ালে। জানা গেছে এটি বিশ্বের বৃহত্তম আদিম গুহাচিত্রকর্ম গুলির মধ্যে একটি। এই দেওয়ালগুলিতে বহু প্রাণীর ছবি পাওয়া গেছে যেসব প্রাণীর এখন কোনো অস্তিত্ব নেই, যেমন ম্যাস্টোডন যা প্রায় ১২,০০০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এছাড়াও প্যালিওলামা-র যা উট-এর একপ্রকার বিলুপ্ত প্রজাতি, অতিকায় স্লথ ও তুষার যুগের ঘোড়া যা এখন বিলুপ্ত, এদের ছবিও পাওয়া গেছে রকশেল্টারের দেওয়ালে।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে আমাজনের গভীরে যাওয়া কিছু আদিম মানব এই চিত্রকর্মগুলি করেছিল। এই রকশেল্টারটি রয়েছে কলম্বিয়ার সেরানিয়া দে লা লিন্ডোসাতে। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপক ও কলম্বিয়ার ইতিহাসের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ হোসে ইরিয়ার্তে হলেন এই রকশেল্টারের আবিস্কারক দলের নেতা। তিনি এই আবিস্কারের ব্যাপারে জানিয়েছেন “সেখানে পৌঁছলে অনুভূতিগুলি বদলে যায়। এ এক এমন জায়গা যেখানে হাজার হাজার আদিমচিত্র আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
মেয়ের ছবি না তোলার অনুরোধ, সেইসঙ্গে ফটোগ্রাফারদের মূল্যবান উপহার পাঠালেন বিরুষ্কা
প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগে যাবে তাদের প্রত্যেকটিকে আলাদা আলাদা করে রেকর্ড করতে। যত এগোতে থাকবেন, দেখবেন পরবর্তী দেয়ালে নতুন ছবি।এ যেন অফুরন্ত”। হোসে ইরিয়ার্তে আরও জানিয়েছেন এখানে অনেক বিলুপ্ত প্রাণীর ছবি দেখতে পাওয়া যায় যা প্রাকৃতিকভাবে সুন্দরভাবেই তৈরি হয়েছে। ঘোড়ার রূপ এত বিস্তারিতভাবে আঁকা যে ঘোড়ার চুল পর্যন্ত দেখা যায়। মাছ, কচ্ছপ, টিকটিকি থেকে শুরু করে নৃত্যরত একদল মানুষের ছবিও রয়েছে রকশেল্টারের দেওয়াল গুলিতে। কিছু কিছু চিত্রকর্ম এতটাই উপরে রয়েছে যেগুলি শুধুমাত্র ড্রোনের সাহায্যেই দেখা যায়। জানা গেছে গতবছরই এই প্রাচীন শিল্পকর্মের রকশেল্টারটি আবিস্কার হয়েছিল তবে চিত্রায়িত করার কারণে এই আবিস্কারের কথা গোপন রাখা হয়েছিল।