বাঙালি বিয়ে ,আর বিয়ের কনে মানেই বেনারসি, কিন্তু বেনারসিই কেন? বাঙালি বিয়ে আর বেনারসি নিয়ে আলাপচারিতায় সেলিব্রিটি স্টাইলিস্ট অনুপম। তাঁর কথায় বিয়ের বেনারসি ব্যাপারটা মনে গেঁথে গেছে। ছোটবেলা থেকে ঠাকুমা বা দিদিমার কাছ থেকে রুপকথার গল্প শুনে বড় হওয়া, তখনকার বিয়ের সময় সোনা , রুপোর জড়ির কাজ করা বেনারসি পরত মেয়েরা, যা এখনকার জেনারশনের কাছে সত্যিই একটা রুপকথা। বর্তমান সময় যখন বিয়ের প্রসঙ্গ আসে তখন সেই বেনারসির কথাটাই মাথায় আসে প্রথমে। অনুপমের কথায় বেনারসির মধ্যে যে সৌন্দর্য রয়েছে তা অকল্পনীয়।
প্রতিটি মেয়ে নিজের মত সুন্দর। বিয়ের সাজে মেয়েদের যেকোনো রঙের বেনারসিতেই ভালো লাগে। বেনারসির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে অনুপম বলেছেন, বেনারসি এমন একটা শাড়ি যার কোনো বিকল্প হয় না। বাঙালি মেয়ে বা যেকোনো মেয়ে যখন বিয়ের বেনারসি পরে, সেটা যেকোনো রঙের হতে পারে লাল বা পিঙ্ক এবং সেটা যদি প্রিয় গোপাল বিষয়ীর শাড়ি তাহলে তো কথাই নেই৷ অনুপম জানিয়েছেন তাঁর দায়িত্ব থাকে বিয়ে বা বৌভাত বা আইবুড়ো ভাতে কনে কখন কোন শাড়ি পরবে? এসব ক্ষেত্রে প্রিয় গোপাল বিষয়ীর কথাই মাথায় আসে অনুপমের, কারণ তিনি যেকোনো জিনিসকে ফ্রেমে রাখতে পছন্দ করেন।
কাজের সূত্রে অনুপমের সঙ্গে পরিচয় হয় উইনডোজ প্রোডাকশনের। শিবপ্রসাদ ও নন্দিতার পরিচালনায় “ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি” সিনেমায় মোট ৮ টি বিয়ের লুক দিয়েছিলেন অনুপম। ছবির নায়িকা ঋতাভরির একটা অন্যরকম রুপ দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় প্রিয় গোপাল বিষয়ীর সাথে পরিচয় হয় অনুপমের। সেখানকার কর্নধারের সঙ্গে কথা হয় এবং খুব সন্তুষ্ট অনুপম, কারণ তিনি যখন যেরকমটা চেয়েছেন প্রিয় গোপাল বিষয়ী ঠিক সেরকম ব্যবস্থা করে দিয়েছে। প্রিয় গোপাল বিষয়ীর কাছে অনুপম কৃতজ্ঞ। কারণ প্রত্যেক স্টাইলিস্ট এর নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকে। প্রিয় গোপাল বিষয়ীর কাছে অনুপম এই ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছেন। তাই বিয়ের শাড়ি শুধু নয় যেকোনো শাড়ির জন্যই অনুপম প্রিয় গোপাল বিষয়ী’তে আসতে বলেছেন সকলকে।